রিপোর্ট (মনির হোসেন)
নরসিংদী প্রতিনিধি
এক সময়ের জংলী ফল হলেও বেশকয়েক বছর ধরে লটকনের কদর বেড়েছে শতগুণ। ঝোপ-ঝাড়ে গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরে থাকতো এ ফল। তবে সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ ফলের পুষ্টিগুণ সবার জানা হয়ে গেছে।
কদর বাড়াসহ বাণিজ্যিক চাষের পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে এই লটকন। নরসিংদী জেলার শিবপুর, বেলাব উপজেলার লাল রঙের মাটিতে লটকনের ভালো ফলন হয়।
লটকন আমাদের সবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
জানা যায়, বাংলাদেশের লটকন চাষের একমাত্র বৃহত্তর এলাকা নরসিংদী জেলা। কারণ, এ অঞ্চলের লটকন অন্য যে কোনো জেলা থেকে মিষ্টি এবং রসালো হয়ে থাকে। এখানকার বেলে ও দো-আঁশ মাটিতে ফলটির ফলন ভালো হয়। সেজন্য এ জেলার মানুষজন লটকনের বাণিজ্যিক চাষের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
আবার আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে বলে প্রতিবছরই বাড়ছে এর উৎপাদন। লটকন চাষ করে ভাগ্যবদল হয়েছে হাজারও কৃষকের। ফলন ভালো হলেও করোনা মহামারির কারণে গত দুবছর ন্যায্য মূল্য না পেলেও এবার ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষরা।
নরসিংদীর লটকন ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও এই লটকন রফতানি করা হয়। পাইকারি মণ প্রতি দাম ওঠে ২ হাজার ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা। যা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা জানান যে এবার লটকনের বাম্পার ফলণ হয়েছে। যা বিক্রি করে তারা অর্থনৈতিক ভাবে লাভ হয়েছি।
বেলাব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজিমউর-রউফ খাঁন বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। এখানে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন লটকন উৎপাদন হয়। যার আনুমানিক দাম ১ কোটি টাকা। আবহাওয়া ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতার করা হয়।