আব্দুল মান্নান : পটুয়াখালী
সিডরের ১৭ বছর
সাগরকন্যা ইয়ুথ সোসাইটির উদ্যোগে মিশ্রিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২০০৭ সালের সিডারে মারা যাওয়া মানুষের স্বরনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে মোমবাতি প্রোজ্জ্বল ও আলোচনা সভা হয়েছে, আলোচনা সভায় সাগরকন্যা ইয়ুথ সোসাইটির নির্বাহী সদস্য নাইমুল শাওন বলেন ২০০৭ সালের সিডরের সময় আমার বয়স ৭ বছর তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম তখনকার রাতের ভয়ংকর সময়গুলো আমাকে এখনো আতঙ্কিত করে তোলে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ মারা গিয়েছে হাজার হাজার হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল মারা গিয়েছিলো নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছিলো আজ ও আমরা সেই বিভীষিকাময় সিডরের কথা ভূলতে পারি নাই। তাই তাদের স্মরনে আজ আমরা মোমবাতি প্রোজ্জ্বল করেছি, এছাড়া মো: জুয়েল খান বলেন আমাদের কলাপাড়া একটি উপকূলীয় অঞ্চল বাংলাদেশের কোন ঘূর্নিঝড় সৃষ্টি হলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি আবার বুঝি এলো সিডর, এবছর হয়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমলে আমাদের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পর্যপ্ত সহযোগিতার অভাবে অনেকেই এখনও ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেনি
১৪ নভেম্বর রাত থেকে ১৫ নভেম্বর এদিন বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় সিডর। আঘাতের সময় সিডরের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। তবে এ সময় দমকা হাওয়ার বেগ উঠছিল ঘণ্টায় ৩০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। সিডরের প্রভাবে উপকূলে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের গতি বাড়তে থাকে। রাত ৯টার দিকে সিডর প্রথম আঘাত হানে সুন্দরবনের কাছে দুবলারচরে। এরপর বরগুনার পাথরঘাটায় বলেশ্বর নদের কাছে উপকূল অতিক্রম করে। সিডরের আঘাতে লন্ড-ভন্ড হয়ে যায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চল। ধ্বংসযজ্ঞ চলে বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, ঝালকাঠিসহ দেশের প্রায় ৩১টি জেলায়।সরকারি হিসাবে সিডরে ১ হাজার ১ জনের নিখোঁজের কথা বলা হয়েছিল। তবে প্রকৃত নিখোঁজের সংখ্যা এর দ্বিগুণ বা তার বেশি হতে পারে বলে উপকূলবাসী তখন ধারণা করেছিল।
এ আলোচনা সভায়
সাগর কন্যা ইয়ুথ সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক জুয়েল হাসিফ,ইয়াকুব,সিফাত,ঊত্তম,সিহাব,ইমাম, আব্দুল মন্নান , ইলিয়াস, কোয়েল,শাওন,ওমর,রাকিব,মারুফ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।