মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি,
নওগাঁর পত্নীতলায় চাঁদা না পেয়ে ধানক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে ধানক্ষেত নষ্টকরার অভিযোগ,থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা যায়, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলাধীন ১০ নং আমাইড় ইউপির ডাসনগর গ্রামের মৃত শাহাবাজ এর পুত্র মোঃ হারুনর রশীদ এর সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবার ১। মোঃ মকবুল (৫৫), পিতা-মৃত ইসমাইল, ২। মোঃ হবিবর(৪৩), ৩। মোঃ মজিবর রহমান (৪০), ৪। মোঃ গুল মোহম্মদ (৫০), সর্ব পিতা-মৃত আজিমদ্দিন, ৫। মোঃ রশিদ।৩২), পিতা-মৃত লুৎফর রহমান, ৬। মোঃ শাহজান (৪৪), পিতা-মৃত ময়েন, ৭। মোঃ খায়চদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত ইয়ামদ্দিন, ৮। মোঃ তোফাজ্জল ৪৭), শ্বশুর-মৃত গাব্দ, ৯। যোঃ জাহাঙ্গীর (৩৯), পিতা-মোঃ মকবুল, ১০। মোঃ আমিনুল্য ৩৬), হজর- মোঃ হবিবর, সর্ব সাং-ডাসনগর, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁ।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রভাবশালী পরিবারটি ভূক্তোভোগী পরিবারের কাছে গত ইং ১০/১০/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দলবদ্ধ জনতায় ভূক্তভোগীর বাড়িতে এসে তার কাছে ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে। ভূক্তোভোগী প্রান রক্ষার্থে বিবাদীগনকে ভূক্তভোগীর বাড়িতে থাকা নগদ ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা চাঁদা বাবদ প্রদান করে।
ক্ষতিগ্রস্থ জমির বিবরণঃ
জেএল নং-২৮৫, খতিয়ান নং-১১৫, দাগ নং-৪৭৯,৫৩৭, জমির ধরন-ধানী, মোট জমির পরিমান ০৪ বিঘা।
পত্নীতলা থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,
বিবাদী ১। মোঃ মকবুল (৫৫), পিতা-মৃত ইসমাইল, ২। মোঃ হবিবর(৪৩), ৩। মোঃ মজিবর রহমান (৪০), ৪। মোঃ গুল মোহম্মদ (৫০), সর্ব পিতা-মৃত আজিমদ্দিন, ৫। মোঃ রশিদ।৩২), পিতা-মৃত লুৎফর রহমান, ৬। মোঃ শাহজান (৪৪), পিতা-মৃত ময়েন, ৭। মোঃ খায়চদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত ইয়ামদ্দিন, ৮। মোঃ তোফাজ্জল ৪৭), শ্বশুর-মৃত গাব্দ, ৯। যোঃ জাহাঙ্গীর (৩৯), পিতা-মোঃ মকবুল, ১০। মোঃ আমিনুল্য ৩৬), হজর- মোঃ হবিবর, সদ’ সাং-ডাসনগর, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদীগন আমার পাড়া প্রতিবেশী। বিবাদীগনের সহিত আমার দীর্ঘ দিন দরে জমি-জমার বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া বিবোৰ ওলিয়া আসিতেছে। এমতবস্থায় গত ইং ১০/১০/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন পুবের শত্রুতার জের ধরিয়া দলবদ্ধ জনতায় সামার বাড়িতে আসিয়া আমার কাছে ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) ডুকা চাঁদা দাবি করে। আমি বিবাদীগনকে কোন চাদা দিতে না চাইলে তারা আমার উপরে ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে এবং তারা আমাকে তৎক্ষনাৎ প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। আমি আমার প্রান রক্ষার্থে বিবাদীগনকে আমার বাড়িতে থাকা নগদ ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা চাঁদা বাবদ প্রদান করি এবং বিবাদীগন বলে যে, আমি যদি বিবাদীগনকে বাঁকি ৮০,০০০/-( আশি হাজার) টাকা কয়েক দিনের মধ্যে না দেয় তাহলে তারা রাতের আধারে আমার জমিতে অনাধীকারে প্রবেশ করিয়া আমার জমির ধানে বিনা মারা কূট নাশক বিষ প্রয়োগ করিয়া মেরে ফেলিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। এমতবস্থায় আমি বিবাদীগনকে কয়েক দিনের মধ্যে চাঁদা বাবাদ বাঁকি ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা না দিতে পারায় বিবাদীগন গত ইং ১/১১/২০২৪ তারিখ রাত্রি অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় আমার নিম্ন তফশীল বণিত ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে গিয়ে আমার উক্ত সম্পত্তিতে থাকা জমির ধানে বিনা মারা কূট নাশক বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে আমি উক্ত বিষয়াটি লোকমারফত জানিতে পারিয়া বিধসীগনের কাছে গিয়ে আমার উক্ত সম্পত্তিতে বিনা মারা বিষ প্রয়োগ করার কারন জানতে চাইলে বিবাদীগন আমার উপরে ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি বিবাদীগনকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তারা বলে যে, যদি তাদেরকে চাদা বাবদ বাঁকি ৮০,০০০/- টাকা না দেয় তাহলে বিবাদীগনেরা আমার সমস্ত সম্পত্তির ধানে বিনা মারা বিষ প্রয়োগ করিয়া মেরে ফেলিবে সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়বভীতি ও মারপিট সহ প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীগন আমার জমির ধানে বিনা মারা বিষ প্রয়োগ করে আমার জমির ধান মেরে ফেলিয়া আমার অনুমান ৮৫,০০০/- টাকা ক্ষতি সাধন করিয়াছে। বিষয়ে স্বাক্ষী ১। মোঃ রাজ্জাক (৩৩), পিতা-মোঃ শাহাদত, মোঃ রমজান (৩৫), পিতা-মোঃ আফতাব হোসেন (২) খোকা, উভয় সাং-ডাসনগর, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগান্বয় সহ উক্ত বিষয়টিতে আরো লোকজন অবগত আছেন। পরবর্তীতে আমি উক্ত বিষয় নিয়ে আমার পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয় লোকজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইলো। বিধায় আমার আইনের সহায়তা প্রয়োজন। তফশিলঃ মৌজা-ডাসনগর, জেএল নং-২৮৫, খতিয়ান নং-১১৫, দাগ নং-৪৭৯,৫৩৭, জমির ধরন-ধানী, মোট জমির পরিমান ০৪ বিঘা।
এবিষয়ে বিবাদী হবিবর,গুল মোহাম্মদ, আঃ রশিদ এর মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের মুঠোফোন গুলো রিসিভ করেন নাই।
এ বিষয়ে বাদী ও জমির মালিক হারুনর রশীদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবত আমার সাথে এ কাজ গুলো করে আসছিল তাই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
উক্ত বিষয়ে ১০ নং আমাইড় ইউপির সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন এর মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবত কোনো ক্ষমতাশীল দলের নাম করে পুরো গ্রামকে কোনঠাসা করে রেখেছিল, বিভিন্ন সময় গ্রামের গরিব, দুঃখী মাণুষেন উপর অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন করে আসছে।
উক্ত বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।