মোফাজ্জল হোসেন (কেন্দুয়া) নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার শিমুলতলা হারারকান্দা হতে আউজিয়া কমিউনিটি স্কুল পর্যন্ত সিএইচ ০০-১৫৪০ মিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজের ঠিকাদার মো. সারোয়ার জাহানের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি ময়মনসিংহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, এলজিইডি ময়মনসিংহ, নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি নেত্রকোণা, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী, এলজিইডি বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেছেন কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতী গ্রামের মো. আতাউর রহমান।
লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার নেত্রকোণা এলজিইডি কর্তৃক শিমুলতলা হারারকান্দ্য হতে আউজিয়া কমিউনিটি স্কুল পর্যন্ত সিএইচ ০০-১৫৪০ মিটার পর্যন্ত রাস্তা পাকা করণের বিজ্ঞাপন জারি হয়, যার আইডি নং: ৩৭২৪৭৫১৩৪, প্যাকেজ নং NDRIIP/Kendua/23- 24/RD-06, টেন্ডার আইডি নং: ৮৯৫৯৭৮।
টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি পরবর্তী নিয়ম মোতাবেক রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ পায় মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের ঠিকাদার মো. সারোয়ার জাহান। উক্ত রাস্তা পাকাকরণের কাজ ঠিকাদার মো. সারোয়ার জাহান সরকারি নিয়ম অমান্য করে নিজের ইচ্ছেমতো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দ্বারা কাজ শুরু করে।
রাস্তাটিতে পূর্বে থেকেই ৯টি পুরাতন কালভার্ট আছে। রাস্তাটি পাকাকরণের কাজে ৯টি পুরাতন কালভার্ট নতুন করে নির্মাণ সহ আরও ৪টি নতুন কালভার্ট নির্মাণের আদেশ রয়েছে, কিন্তু উক্ত ঠিকাদার অন্যায়ভাবে অধিক লাভবান হওয়ার হীনস্বার্থে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে পুরাতন ৯টি কালভার্টের ওয়ার্ক অর্ডারের ধার না ধারিয়া পুরাতন ৯টি কালভার্ট ঠিক রেখে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে উক্ত পুরাতন কালভার্টগুলো ঘষামাজা করে সাইডে হালকা কাজ করে বলে জানা যায়। এর ফলে এলাকাবাসীর চলাচলের বিঘ্নতার সৃষ্টি সহ কালভার্টগুলো যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগকারী মো. আতাউর রহমান বলেন, কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী বারবার মৌখিকভাবে অভিযোগ করার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে ঠিকাদার মো. সারোয়ার জাহানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আল আমিন এঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কেন্দুয়ায় নতুন যোগদান করেছি, অভিযোগ পেয়েছি সরজমিনে গিয়ে কাজের মান যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক এবং প্রকাশক : মোহাম্মাদ মিঠু আহম্মেদ,
সহ-সম্পাদ, নাহিদ হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তারিকুল ইসলাম খাঁন, বার্তা সম্পাদক , জাহাঙ্গীর আলম,
পুঠিয়া , রাজশাহী, # ই-মেইল: mdmithuahemmad123@gmail.com
Copyright by সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ