মোঃ ইলিয়াস মোল্লা
বিশেষ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
মশার কামড়ে যেন জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
নেই কোনো মশা মারার ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন থেকেও কোন ঔষধ বা কোন প্রকার নেয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা। এতে করে হাসপাতালগুলোতে বেড়ে চলছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মশা জনিত কারণে।
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে গাজীপুর ৪৭ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দারা।
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গ্রীষ্মকাল কাল আসার সাথে সাথে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার বিস্তার। দিনে কিছুটা স্বস্তির পেলও রাতে মশার কামড়ে নাজেহাল গাজীপুর বাসী৷ রাতের বেলায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে ও মশারি তো মানছেই না।
আর একটু সন্ধ্যা হতে না হতেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায়।
প্রতি বছরের ন্যায় মশা নিধনের জন্য যে বাজেট থাকে তাও এবার কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
তবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দারা মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য কেউ কেউ ব্যবহার কি করছেন ধোমা।
গাজীপুরে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় যে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথেই মশার উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিদিনই ব্যবহার করছেন কয়েল, স্প্রে এমনকি মশারি টাঙ্গিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গাজীপুর মহানগর আশপাশের এলাকা বাসী। বিশেষ করে উৎপাদন কারখানা বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রহরীরা বলেন যে, পেটের দায়ে তাদের নাইট সিফটে প্রতিষ্ঠান পাহাড়া ও জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পাহারা দিতে হয়। কিন্তু মশার কামড়ে তারা আজ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মৌমাছির ঝাঁকের মত এসে মশা গায়ে পড়ে ।একদিকে মশার উৎপাত অন্যদিকে বৈশাখের উপচে পড়া গরম৷
এদিকে ঢাকার পর গাজীপুর শিল্পাঞ্চল হওয়ায় মিলফ্যাক্টরি, কলকারখানার দূষিত বর্জ্য, বিভিন্ন স্থানের জমে থাকা নোংরা পানি এবং যেখানে সেখানে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা থেকে মশার প্রজনন যেন কুরুক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। মহানগর বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসানো ডাস্টবিন ও আবর্জনা ফেলার স্থান নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার বিস্তার ক্রমশে বেড়েই চলছে। আর এতে করে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে জন্য জীবন বিশেষ করে শিশুরা। তাছাড়া মশার উৎপাতে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ও চরম ব্যাঘাত ঘটতেছে।
গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে সারাদিন মশার উপদ্রব কম থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই এই উৎপাত আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করেও স্বস্তি পাচ্ছেন না নগরবাসী।
এমন অবস্থায় মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙ্গিয়ে বা ইলেকট্রিক বেড ব্যবহার করে শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারেন না খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো। এমত অবস্থায়অনেকই মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে হাসপাতালগুলো তো রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপ বাড়ছে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল হাসপাতালে।
মেডিকেলে আশা রোগীদের মধ্যে দুই একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা মশার কামড়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি আছেন৷
শহীদ আহসানুল্লাহ মেডিকেলের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই তিন মাস পর্যন্ত মশা বংশবিস্তার ঘটায়। এ সময় মশাবাহিত রোগে মানুষ আক্রান্তও হয় বেশি। মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। এজন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা চিকিৎসার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ ও দিয়ে থাকেন।